ময়মনসিংহ বিভাগে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী যারা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  দেশের বৃহত্তম দল বিএনপি গত নির্বাচন বর্জন করলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা বলে আসছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকাও করছে দলটি। প্রাথমিকভাবে ৩০০ আসনের জন্য ৯ শতাধিক প্রার্থীর তালিকা করেছে দলটি। এই তালিকায় চলবে আরো সংযোজন বিয়োজন।

২০১৫ সালে গঠিত ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপিতেও লেগেছে নির্বাচনের হাওয়া। এই বিভাগের ২৪টি আসনে এরই মধ্যে বিএনপির পক্ষে নির্বাচনের লড়তে ৭৩ নেতা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।

বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, সরকার দলের হেভিওয়েট প্রার্থীদের মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচনের অযোগ্য করার ষড়যন্ত্র করছে। তাই প্রার্থী সংকট এড়াতে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় ১ম, ২য় ও ৩য় ক্যাটাগরিতে নাম রাখা হচ্ছে।

দলে অনেক সিনিয়র ও জনপ্রিয় নেতা রয়েছেন। প্রত্যেকেই জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে চান। তবে যোগ্য প্রার্থীদেরই দল মনোনয়ন দেবে বলে জানান তারা।

ময়মনসিংহ বিভাগে ৪টি জেলার ২৪টি আসনে জন্য তালিকায় স্থান পেয়েছেন যারা-

ময়মনসিংহ জেলা
ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া): বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বিচারপতি টিএইচ খানের ছেলে আফজাল এইচ খান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আজগর।

ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা): সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ার, ফুলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল বাসার আকন্দ ও তারাকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন তালুকদার, ছাত্র দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুজা উদদৌল্ল সুজা।

ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর): বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসাইন, আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল হক, গৌরীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান তায়বুর রহমান হিরণ, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মকবুল হোসেন বকুল ও বিএনপি নেতা সার্জেন্ট মকবুল হোসেন ও পৌর বিএনপির সেক্রেটারি আলি আকবর আনিস।

ময়মনসিংহ-৪ (সদর): সাবেক মন্ত্রী ও জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম মোশাররফ হোসেন, ড্যাব নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাবেক এমপি দেলোয়ার হোসেন খান দুলু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম মোহাম্মদ ওয়ালিদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ।

ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা): সাবেক এমপি আবু রেজা ফজলুল হক বাবলু, সাবেক মন্ত্রী ও জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম মোশাররফ হোসেন এবং তার সৎ ভাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন বাবলু, মুক্তাগাছা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকারিয়া হারুন, মুক্তাগাছা পৌর মেয়র শহীদুল ইসলাম শহীদ।

ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া): বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দীন আহমেদ এবং শেরে বাংলা একেএম ফজলুল হকের নাতনি জামাই আখতারুল আলম ফারুক, উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাদশা।

ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল): বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, ত্রিশাল উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন।

ময়মনসিংহ-০৮ (ঈশ্বরগঞ্জ): সাবেক এমপি শাহ নুরুল কবির শাহিন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির একাংশের সভাপতি লুৎফুল্লাহ হেল মাজেদ বাবু এবং ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি কামরুজ্জামান লিটন।

ময়মনসিংহ-০৯ (নান্দাইল): সাবেক এমপি খুররম খান চৌধুরী, তার ভাতিজা লন্ডন প্রবাসী ইয়াসের খান চৌধুরী এবং সৌদী আরব পূর্বাঞ্চল বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম।

ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও): কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, ৮০ দশকের ছাত্রনেতা ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কাসেম এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি এবি সিদ্দিকুর রহমান।

ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা): ময়মনসিংহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু। দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের সাবেক মহাসচিব বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব মোর্শেদ আলম।

জামালপুর জেলা
জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ): সাবেক এমপি এম. রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাবেক আইজিপি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কাইয়ুম, সাহিদা আক্তার রিতা।

জামালপুর-২ (ইসলামপুর): সাবেক এমপি ও ইসলামপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাবু, সাবেক সচিব ও চেয়াপারসনের উপদেষ্টা এ এস এম আব্দুল হালিম।

জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ): মেলান্দহ উপজেলা বিএনপি সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।

জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী): সরিষাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জামালপুর জেলা বিএনপি সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, সালাম তালুকদারের আপন ভাতিজা।

জামালপুর-৫ (সদর): সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী সিরাজুল হক ও সাবেক পৌর মেয়র এবং জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো: ওয়ারেছ আলী মামুন, নিলুফার চৌধুরী মনি, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাপস পাঠান।

শেরপুর জেলা
শেরপুর-১ (সদর): জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী।

শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ি): জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম চৌধুরী, সাবেক সচিব ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার হায়দার আলী, নালিতাবাড়ি উপজেলার চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান রিপন ও বিএনপি কর্মী জায়েদুর রশিদ শ্যামল।

শেরপুর-৩ (ঝিনাইগাতি-শ্রীবরর্দী): সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল ও ঝিনাইগাতি উপজেলার চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা।

নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দূর্গাপুর): বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক এমপি গোলাম রব্বানী, দূর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রাশেদুল ইসলাম, সাবেক যুবদল নেতা সেলিম রেজা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজমল হোসেন পাইলট। এছাড়া জোটগতভাবে নির্বাচন হলে সাবেক হুইপ ও এলডিপি নেতা আব্দুল করিম আব্বাসীও রয়েছেন।

নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা): জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, কেন্দ্রীয় বিএনপি কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ড. আরিফা জেসমিন নাহীন, সাধারণ সম্পাদক ডা. আনোয়ারুল হক, বিএনপির সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এটিএম আবদুল বারী ড্যানি, ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মিয়া।

নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া): বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী, কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহ-ক্রীড়া সম্পাদক রায়হান আমিন রনি ।

নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী): সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী।

নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা): সাবেক এমপি মরহুম ডা. মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী বিএনপি নেত্রী রাবেয়া আলী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবু তাহের তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান তালুকদার।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর